এটি আমার এক বন্ধুর বাস্তব প্রেমের গল্প…
আমার বন্ধুরা কোন
সুন্দরী মেয়ে দেখলেই বাদরামি শয়তানি চালিয়ে যেতে থাকে আর আমি ওদের সাথে
থাকলে কোন মেয়ে দেখলে পালিয়ে যেতাম । হেডস্যারের কাছে ওদের নামে প্রায়
প্রতিদিন নালিশ আসত আমরা ক্লাস করতাম ছেলে মেয়ে একসাথে আমাদের ক্লাসের এমন
কোন মেয়ে নেই যারা আমার বন্ধুদের বাঁদরামির শিকার হয়নি । ও ভাল কথা আমার
বন্ধুদের সাথে আপনাদের পরিচয় করানই হলনা …. বন্ধুদের গ্রুপ সাধারণত হয় দুই,
চার বা জোড় সংখ্যায় ব্যতিক্রমও ঘটে প্রায়ই এমনই এক বন্ধু গ্রুপ আমাদের
তিনজনের। শিমুল, রাজ আর আমি । শিমুল বেশ লম্বা, গায়ের রঙ ফর্সা, চেহারাও
নায়ক নায়ক। রাজ শিমুলের তুলনায় বেঁটে আর গায়ের শামলা । আর আমি লম্বা
বৈশিষ্টহীন সাধারণ চেহারার বাঙালী। তিনজনের পছন্দ-অপছন্দে বিস্তর অমিল,
শুধু এক জায়গায় আমাদের মিলের কোন অভাব নাই আর তা হল আমরা প্রায় ঝগড়া করি
আমার মিলে যায় ! আমার এক জাইগায় আমার সাথে ওদের দুইজনের অমিল ওরা দুইজনেই
প্রেম করে…… মাঝে মাঝে স্কুল ফাঁকি দিয়ে বেস্ট-বাইডে প্রেম করে আমি প্রেমের
বিরোধিতা করি !! আমি তখন ক্লাস এইটে পড়ি বৃত্তি পরীক্ষার প্রস্ততি নিচ্ছি
আমি সুনীল স্যারের কাছে পরতে যেতাম একদিন স্যার আমাকে বলল ওদের সাথে কিভাবে
আমার ভাল বন্ধুত হল? আমি কি জবাব দিব ভেবে না পেয়ে স্যারকে বললাম কেন
স্যার? স্যার বলল হয় তুইও ওদের সাথে বাঁদরামি করবি না হলে ওদের সঙ্গ ছেড়ে
দিবি .. স্রোতের বিপরীতে কেন থাকবি ? আমি স্যারকে কিছুই বলতে পারলাম না..
আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের আর কেউ বৃত্তি পরীক্ষায় দিবে না জিলা স্কুলে বৃত্তি
পরীক্ষার সীট পড়েছে ভয়ে ভয়ে ছিলাম নতুন স্কুল, স্যারগুলো কেমন? বৃত্তি
পরীক্ষার দিন খুব সকালে ঘুম থেকে উঠলাম আমার ভাই আমাকে জিলা স্কুলে নিয়ে
গেল স্কুলের গেইটে শিমুল, রাজ আমার জন্য অপেক্ষা করছে … ওরা আমাকে সাহস দিল
তুই যা ভয়ের কিছুই নেই ওদের কথা বলার ভঙ্গি দেখে মনে হল ওরা যেন ১০-১২ বার
বৃত্তি পরীক্ষা দিয়েছে !! বৃত্তি পরীক্ষা শেষ এল দুর্গা পুজা রাজ সকালে
আমার বাসায় আসল বলল একবারে রেডি হয়ে বাসা থেকে বের হ … আর মাসিকে বল বাসায়
ফিরতে দেরি হবে… মাকে কথাটা বলতে ভয় পাছিলাম… রাজ মাকে কিভাবে জানি রাজি
করল.. বাসা থেকে বের হয়ে নেত্রকোনার বাসে আমি বললাম বাসে কেন? ও বলল
নেত্রকোনা পুজা দেখতে যাবে … রাতেই ফিরে আসবে… আমি প্রথমে যেতে রাজি হয়নি
পরে রাজের অনুরধে নেত্রকোনা যেতে হল … এই প্রথম বাসায় না বলে ময়মনসিংহ থেকে
বাইরে কোথাও এলাম… বড় বাজার পুজার মূর্তি দেখে বের হচ্ছি এমন সময় রাজ
আমাকে বলল দোস্ত দেখ.. আমার দৃষ্টি মুহূর্তেই স্বপ্ন দেখে আঁতকে উঠল , মনের
ভীতর জন্মালো প্রকান্ড ঢেউ, বুকের ভীতর সুনামি বইতে লাগল, আমার মনে হছিল
তাকে না পেলে আমি হব সব কিছু হারানো কোন এক উদ্বাস্তু তরুণ, তাকে পেতেই
হবে, তাকে পেতেই হবে.. আমি আজ ভালোবাসতে শিখলাম আমি আজ প্রেমিক হলাম…. যে
আমি প্রথম দেখায় প্রেম কোনকালেই বিশ্বাস করতাম না রাজ,সিমুলের প্রেমের
বিরোধিতা করেছি সেই আমি আজ প্রথম দেখায় প্রেমে পরেছি সেটা রাজকে বুঝতে দিতে
চাইলাম না রাজ আমার নিরবতা ভেঙ্গে বলল দোস্ত চল ওর সাথেই কথা বলি আমি
বললাম অই শালা ওর সাথে ওর অভিভাক আছে ওইটা দেখছস? আর তুই না প্রেম করশ? রাজ
আমারে বলল চল পিছু লই দেহি কই যায়, ওর এই কথা সুনে কেন জানি রাগ হল রাজ
আমারে বলল চলতো দেখি যা তোর সাথেই প্রেম করাইয়া দিমু … আমি ভনিতার সুরে
বললাম তুই কইসশ না গেলে উপাই আছে?? চল…………. ১ ঘণ্টা ধরে ওর পিছন পিছন
ঘুরছি.. মুক্তার পাড়া পুজা দেখতে ঢুকলাম ওর মা (সম্ভবত) ওর থেকে একটু সামনে
চলে গেল রাজ বলল
দোস্ত চল এই সুযোগ কথা কউয়ার আমি মেয়েদের ব্যাপারে সবসময়
ভীতু তাই রাজকে বললাম তুই যা আমি যামুনা রাজ বলল তাইলে দাঁড়া আমি কথা কইয়া
আই…… রাজ মেয়েটির উদেশে হাঁটতে লাগল……. চলবে………..
গল্প টি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
ReplyDeleteআমার Blog এ আমন্ত্রন রইলো
SoudipVor.Blogspot.Com